Hi, আমি হিন্দু... কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হয় আল্লাহকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে।
রাত গভীর ছিল,
তুমি পর্দা টেনে বিছানায় বসে ছিলে,
ফোনে এক ছেলের মেসেজ এলো।
সে বলল,
Q: Hi, আমি হিন্দু... কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হয়
আল্লাহকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে।
হাহা, মজা করো?
: না রে জান, তুই আমার জন্য আলাদা... তোর জন্য
ইসলামও কবুল করতে রাজি আছি।
: Pls মিথ্যে বলো না...
: কসম, শুধু তোর হালাল স্বামী হতে চাই... প্লিজ একবার
বিশ্বাস কর।
এভাবেই শুরু...
তুমি তখন মনে মনে ভাবলে, আমার দ্বারা যদি একজন
হিন্দু মুসলমান হয় তাহলে এটাই হবে আমার সবচেয়ে বড়
সফলতা।
তখন থেকেই তোমার মনে তার জন্য ভালো লাগা শুরু হল,
তুমি ভাবলে সে আলাদা।
সে অন্যরকম,
তাকে বদলে দেবে ভালোবাসা,
তুমি হয়ে যাবে তার “হালাল জীবনসঙ্গী।
সে তোমার অনুভূতিতে কথা বলল,
'
তুমি তার ‘কালেমা পড়া' চোখ দেখে আপ্লুত হলে।
কেউ সাবধান হতে বললে, তুমি বলো “সে বদলে গেছে!”
কেউ যদি বলে “এটা ফাঁ'দ হতে পারে
তুমি বলো “না! সে আমার জন্য ইসলাম ক'বুল করতে
চায়!”
কিন্তু একদিন...
সে বলল, “চল না, কোথাও যাই। তুমি সাড়া দিলে
সে বলল, “তুমি শুধু আমার। তুমি বিশ্বাস করলে।
আর বিশ্বাস করতেই—
তোমার ই'জ্জ'ত নিয়ে সে খেলল,
তোমাকে ঘর ছাড়তে বলল,
তোমার গর্ভে রেখে গেলো তার পা'পে'র চিহ্ন।
তারপর?
ফোন অফ!
ঠিকানা ভুয়া!
নামটাও ছিল নকল!
তারপর সে আবার আসলো, বলল চলো আমরা নতুন করে
শুরু করি।
তুমি আবারও বিশ্বাস করলে।
তুমি ভাবলে বিয়ে হবে,
সে বলল, “তোমাকে নিজের মতো করে সাজাতে হবে..."
আর সেই সাজ...
ছিল প'তি'তা'র সাজ।
তোমার শরীর সে তুলে দিলো অন্যদের হাতে,
তোমার মুখে সে আঁকলো অ'শ্লী'ল'তা,
তোমার গর্ভে সে রেখে গেল অ'ন্ধ'কা'র নাপাক বী'র্য।
আজ তুমি একটা ব'ন্ধ ঘরে।
দিনে দশজন লোক আসে,
তারা তোমার নাম জানে না,
তারা তোমার অ'শ্রুসি'ক্ত চোখ দেখে না,
তারা শুধু দেখে তোমার শ'রী'র।
তোমার ঈমান, রূহ, আত্মা,
সব তার ভালোবাসা ছদ্মনামে বি'ক্রি হয়ে গেলো।
তুমি আর কিছুই জানলে না।
শুধু জানলে,
“Hi” দিয়ে যে শুরু হয়েছিলো
তার শেষ হলো প'তি'তা'লয়।
প্রিয় বোন,
যে মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করে না,
সে তোমার চোখের জলকে বিশ্বাস করবে কিভাবে?
তুমি কেবল সুন্দর, তাই সে এসেছে।
তুমি যদি অ'ন্ধ হতে, সে কি আসতো?
হে আমার বোন...
ভুল করে ফেলেছো বুঝি?
পিছনে অনেক কিছু ভে'ঙে'ছে – জানি।
কিন্তু আল্লাহর দরজা এখনো বন্ধ হয়নি।
তুমি কেঁদে বলো,
“হে আল্লাহ! আমি মাফ চাই, আমি ফিরে এসেছি........